জেসমিন আহমেদ এর ২টি কবিতা
বাঁশপণ্য
বাঁশপণ্য আমাদের ঐতিহ্যের ধারক।
কুলা এক সময় আমাদের দেশের সর্বাধিক ব্যবহারিত
গৃহস্থালি পণ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল
কুলা ছাড়া আমাদের মা চাচীদের কিংবা দাদী নানীদের
যেন সংসারের কাজকর্ম চলত-ই না
আজ কালের বিবর্তনে হাঁরিয়ে যেতে বসেছে
এই বাঁশপণ্য কুলা।
কিছু দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের হাত ধরে
কুলা আবার ফিরে এসেছে
আমাদের সৌখিনতার এক মাধ্যম হিসেবে;
শোভা পাচ্ছে- ড্রয়িং রুম শোবার ঘর কিংবা বসার ঘর
সব জায়গায় দেওয়াল শোপিস হিসেবে।
ঘরের কিংবা বারান্দার কিংবা বাসার
প্রধান ফটক সাজাতে কুলা আজ ভীষণ জনপ্রিয়।
আসুন বাঁশপণ্য ব্যবহার করি
দেশের শিল্প সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে লালন এবং ধারণ করি।
++++++++++++++++++++++++++++++++++
প্রেম সাধন
আগে করো স্থির মন
পরে করো প্রেম সাধন।
হাকীকি আশেক হলে
পড়বে পথে কাঁটাবন
হৃদ মাঝারে ফানা হতে পারলে
হবে কুহেতর গঠন।
হাকিকি আশেক যারা
কান থাকতেও শুনে না তারা
মুখ থাকতেও কয় না কথা
চোখ থাকতেও অন্ধ কানা।
আউলিয়া ফকির যারা
মরার আগে মরে তারা
হিংসা নিন্দা সব ছাড়া
মুর্শিদ চরণে জীবন করে উৎসর্গ।
রাবেয়া বছরী প্রেম করিলো
পাগলিনী নাম হইলো
মাটির পাহাড় স্বর্ণ হল
দেখো মুসার প্রেমের কি সাধন।
তবুও আমার সাধ মিটে না
মুর্শিদ বিনে প্রাণ বাঁচে না
কলঙ্কের অলংকার হইলো
আমার রূপের বাহার।